গৌতম বিশ্বাসকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে দাবী যৌনকর্মীদের
আসানসোল। গত ৩ রা আগষ্ট রাত্রে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন এবং প্রশাসন যৌথভাবে নিয়ামাতপুরে নিষিদ্ধ পতিতা পল্লীতে আচমকা হানা দিয়ে নাবালিকা ও মহিলা যৌনকর্মীদের আটক করে নিয়ে যায়। পতিতা পল্লী লছিপুরে প্রশাসন হানা দেবার পর থেকে অদ্ভুতভাবে অন্তর্ধান হয় যৌনপল্লীর সুপরিচিত গৌতম বিশ্বাস, প্রশাসনের অভিযোগ গৌতম বিশ্বাস বিভিন্ন এলাকার নাবালিকাদের ভূয়ো আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড বানিয়ে এলাকায় বলপূর্বক তাদের দেহ ব্যাবসা করতে বাধ্য করতো ও এলাকায় দেহব্যাবসা করার জন্য গৌতম বিশ্বাসের পরিচালিত ক্লাবকে পয়সা দিতে হতো। লছিপুরে হানা দেবার পর গৌতম বিশ্বাস এলাকা ছাড়া হয়ে যায়, তাকে গ্রেপ্তারের জন্য আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট দেশের বিভিন্ন থানাতে যোগাযোগ করে। সম্প্রতি পুলিশ খবর পায় গৌতম বিশ্বাসকে মুম্বাইয়ে দেখা গেছে কিন্তু পুলিশ যাবার আগেই গৌতম সেখান থেকে পালিয়ে যায়। রবিবার রাত্রে নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ গৌতম বিশ্বাসের বাড়ী সীল করে দিয়ে যায়। অন্যদিকে গৌতম বিশ্বাস পলাতক হবার পর থেকে অসহায় হয়ে পড়েছে লছিপুর চবকার যৌনকর্মীরা,তাদের দাবি গৌতম বিশ্বাসকে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। যৌনকর্মীদের বিভিন্ন অসুবিধার সময় গৌতম বিশ্বাসের পরিচালিত ক্লাব তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। লছিপুরে নতুন কোন মেয়ে ব্যাবসায় আসতে চাইলে তাদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং রেশন কার্ডের কপি ক্লাব ও থানাতে জমা দিতে হতো এবং ব্যাবসা করার জন্য ক্লাবকে পয়সা দেবার কথা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা বলে দাবি একাধিক যৌনকর্মীদের। তাদের আরো দাবি লছিপুরের কোন যৌনকর্মীর অসুখের সময়, এলাকায় বাইরের লোকদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে এবং একাধিক অসুবিধাতে গৌতম বিশ্বাস তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গৌতম বিশ্বাস না থাকাতে তারা খুব অসহায়তার মধ্যে রয়েছে তাদের উপর অত্যাচার আটকাবার কেউ নাই এবং ইতিমধ্যেই বাইরের লোকেরা এসে জায়গা দখল করে নিতে চাইছে ও তাদের উপর অত্যাচার শুরু করে দিয়েছে। গৌতম বিশ্বাস বলপূর্বক যৌনকর্মীদের দেহ ব্যাবসা করার, নকল আধার কার্ড ভোটার কার্ড বানানোর অভিযোগ সেই পতিতাপল্লী লছিপুরের যৌনকর্মীরা প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন গৌতম বিশ্বাসকে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করার।