অবশেষে লছিপুরে গৌতম বিশ্বাসের বাড়ী সীল করলো প্রশাসন
আসানসোল। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে গত ৪ আগষ্ট রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অন্যনা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার সহ পুলিশ আধিকারিকরা নিয়ামগপুরের নিষিদ্ধ পল্লী লছিপুরে অতর্কিত হানা দিয়ে নাবালিকা ও মহিলাসহ ৪৫ জনকে আটক করে নিয়ে যায় যার মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশের বেশী নাবালিকা ছিল বলে জানা গেছে। লছিপুরে হানার পর একাধিক অবৈধ ব্যাবসার রমরমিয়ে চলার ঘটনা প্রকাশ পায়, প্রশাসন লছিপুর এলাকায় দোকান ও ঘর নিয়ে প্রায় দুশো সীল করে দেয় অভিযোগ ঐসব দোকান ও ঘর থেকে অবৈধ কার্যকলাপ হতো। হানার দিন প্রশাসন গৌতম বিশ্বাস নামে এক ব্যাক্তিকে খুঁজতে শুরু করে, তার বিরুদ্ধে নাবালিকা মেয়েদের বিক্রি এবং জোরকরে দেহ ব্যাবসা করাবার অভিযোগ ছিল। পরবর্তীকালে লছিপুর এলাকায় গব্বর বলে এক মাফিয়ার ফোনের কথোপকথন এবং রাজু সিং নামে অন্য এক ব্যাক্তির ব্যাপারে জানতে পারে গৌতম বিশ্বাস নাবালিকা ও মেয়েদের দেহ ব্যাবসা থেকে কাটমানি উক্ত গব্বর ও রাজু সিংকে দিত এবং অনেক নাবালিকা মেয়েদের পয়সার বিনিময়ে চালান করেছে। পুলিশ প্রশাসন হন্যে হয়ে গৌতম বিশ্বাসকে দেশের বিভিন্ন থানাতে গৌতমের ছবি দিয়ে খোঁজ চালায় সম্প্রতি মুম্বাইয়ে খোঁজ পেলেও পুলিশ যাবার আগে গৌতম সেখান থেকে পালিয়ে যায়। লছিপুর এলাকায় গৌতম বিশ্বাস নিজস্ব বাড়ী বানিয়ে নিজের ঘর ছাড়া সব ভাড়া দেয়, রবিবার রাত্রে পুলিশ প্রশাসন গিয়ে গৌতমের স্ত্রীকে ঘর থেকে বার করে দিয়ে ঘর সীল করে দেয়। গৌতম বিশ্বাসের স্ত্রী জানান রাত্রে কয়েকজন পুলিশ এসে তাদের ঘর থেকে বার করে দিয়ে সীল করে দেয়। গৌতমের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেসব অপবাদ বলে দাবি করছেন তার স্ত্রী, তিনি জানান লকডাউনের সময় তিনি মেয়েদের সহায়তা করেছেন তিনি এইসব কাজ করতে পারেন না তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করছেন। অন্যদিকে জানা গেছে নিয়ামতপুর থানার এক আধিকারিক গৌতম বিশ্বাসকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করার অপরাধে ক্লোজ করা হয়েছে।