সিনেমা কায়দায় বাসকে ধাওয়া করে বোম উদ্ধার
কুলটি। মঙ্গলবার রাত্রে রোমহষর্ক ঘটনার স্বাক্ষী থাকলো একটা অতি সাধারণ বাসের যাত্রীরা, তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাবে তারা ভাবছিল কোন হিন্দি ছবির সুটিং হচ্ছে, বাস তীব্রগতিতে যাচ্ছে তার পেছনে হুটার বাজিয়ে ধেয়ে আসছে পুলিশ গাড়ী। ঘোর কাটতে তারা দেখলো পুলিশ বাহিনী বাসযাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে বাসে তল্লাসী করছে এবং তার কিছুক্ষণ পর একটা ব্যাগ থেকে বোমা উদ্ধার হওয়া।সবমিলিয়ে বড় বড় ক্রাইম সিরিয়ালকে হার মানানো ঘটনা ঘটলো মঙ্গলবার রাত্রে শিল্পাঞ্চলের জাতীয় সড়কে। সাধারণ বাসে করে বোম যাচ্ছিল বিহারে, খবর পেয়ে পাণাগড়ের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিক পাণাগড় থেকে বাসের পিছু ধাওয়া করে কুলটি থানার সহযোগিতায় ডুবুরডিহি চেকপোস্টে বাসটাকে আটক করে বাসের ভেতর থেকে ৩০ টা তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পানাগড়ে সেনা বাহিনীর গোয়েন্দা দপ্তরের কাছে খবর আসে কলকাতা থেকে বিহারগামী মহারাণী নামের যাত্রীবাহি বাসে বোমা যাচ্ছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা দপ্তর আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের সাথে কথা বলে নাকা চেকিংএর ব্যাবস্থা করার সাথে সাথে পাণাগড় থেকে বাসের পিছু ধাওয়া করেন। পুলিশ কমিশনার কুলটি থানাকে ফোন করে জানাবার পর কুলটি থানার পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা যৌথভাবে বাসকে ধাওয়া করে ডুবুরডি চেকপোস্টে বাসকে আটক করার পর তল্লাশি চালিয়ে বাসের সীটের নীচ থেকে ৩০ টা তাজা বোমা ভর্তি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। জানা যায় বাসের পেছনের দিকে কোণের দিকে রাখা ব্যাগের ভেতর থেকে ব্যাগের ভেতরে থাকা তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়, ব্যাগের ভেতর বোমের উপর সাদা কাগজে লেখা ছিল ৩০০০০ টাকার মধ্যে ৫০০০ টাকা অগ্রিম দিয়েছেন ঝাড়খন্ডের সফি আহমেদ এবং কলকাতার দুই ব্যাবসায়ী বোমাগুলো পাঠাচ্ছিল। বাসের কয়েকজন সন্দেহজনক ব্যাক্তিকে ছাড়া অন্যান্য যাত্রীদের অন্যবাসের সাহায্যে গয়া পাঠাবার ব্যাবস্থা করা হয়।